সফটএক্সপোকে নতুন করে ব্র্যান্ডিং করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ ছিলো: আলমাস কবির

সৈয়দ আলমাস কবির। ছবি: শাহরিয়ার তামিম, প্রিয়.কম।
(প্রিয়.কম) দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম চারদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বেসিস সফটএক্সপো ২০১৭। ‘ফিউচার ইন মোশন’ শ্লোগান নিয়ে এবারের সফটএক্সপোর আহবায়ক ছিলেন বেসিসের বর্তমান কমিটির পরিচালক ও মেট্রোনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলমাস কবির। সম্প্রতি প্রিয়.কমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে সফটএক্সপো আয়োজনের নানা ধরনের চ্যালঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
প্রিয়.কম: কেমন হয়েছে এবারের আয়োজন?
আলমাস কবির: সার্বিক অবস্থা দেখে আমি মনে করি এবারের আয়োজন অনেক সফল হয়েছে। কারণ এতো অল্প সময়ে আমরা যেই আয়োজন করতে পেরেছি এবং সবার অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত একটা সফটএক্সপো উপহার দিতে পেরেছি সেটাই অনেক বড় কিছু। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, এক্সপোতে প্রত্যেকটা এক্সিবিটর অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। এছাড়াও এবারের এক্সপোতে দেশি-বিদেশি অতিথি আলোচকদের সমন্বয়ে প্রায় ২০টি সেমিনার ও ১০টিরও অধিক টেকনিক্যাল সেশনের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে প্রথমবারের মত শিশুদের প্রোগ্রামিং এর সাথে পরিচয় ঘটাতে মাইক্রোসফটের আয়োজন ছিলো প্রশংসনীয়। একইসাথে অংশগ্রহণকারীদের আগমনে প্রত্যেকটি সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।
প্রিয়.কম: কোন কোন জায়গাটা আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে?
আলমাস কবির: এতো অল্প সময়ে এবারের সফটএক্সপোকে বাস্তবায়ন করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ ছিলো। যেহেতু চার বছরের একটা গ্যাপ ছিলো, সেখান থেকে নতুন করে শুরু করা এবং রি-ব্র্যান্ডিং করা ছিলো তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পর্যাপ্ত দর্শনার্থীদের আগমন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আমার সেই চ্যালেঞ্জকে পূর্ণ করতে অনেকটা সাহায্য করেছে। একইসাথে আমাদের পরিচালনা পর্ষদও অনেক সাহায্য করেছেন।
প্রিয়.কম: এই আয়োজনে বিশেষ কিছু ছিলো কী?
আলমাস কবির: এবারের আয়োজনে তরুণদের অংশগ্রহণটাই বিশেষ একটি পার্ট ছিলো। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে, তার মধ্যে অনেক স্টার্টআপ ছিলো, যারা আগের এক্সপোতে ছিলো না। পাশাপাশি এবারের আয়োজনে আইটি'র বাইরেও কয়েকটা ব্যাংক অংশগ্রহণ করেছে, স্পন্সর করেছে। আমি ব্যাংকগুলোকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আরেকটা বিষয় আমি জানাতে চাই তা হলো, আমরা এখানে কিছু ম্যাচমেকিং মিটিং এর আয়োজন করেছিলাম। বিদেশের আটটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির সাথে দেশিয় প্রায় ৪৫টির মত স্টার্টআপকে তাদের আইডিয়া শেয়ার ও বিজনেস প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। একইসাথে সরকার থেকে পুরস্কার পাওয়া ১০টা স্টার্টআপকেও আমরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর সাথে বসানোর জন্য বিশেষ আয়োজন করেছিলাম।
প্রিয়.কম: আপনার ব্যক্তিগত ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই।
আলমাস কবির: আমি আসলে ব্যবসার পাশাপাশি অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জড়িত। আমার নিজের প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট আইটিইএস, সফটওয়্যার সলিউশন এবং নেটওয়ার্ক ও সাইবার নিরাপত্তায় কাজ করে থাকে। এছাড়াও আইপি টেলিফোন সেবা নিয়ে কাজ করছে মেট্রো টেল এবং দেশিয় উদ্যোক্তাদের জন্য সম্প্রতি আমরা ভার্চুয়াল ক্লাউড সার্ভার (ভিপিএস) সেবাও চালু করেছি। একইসাথে আমি অ্যামেরিকায় পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন অ্যামেরিকান অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছি। আমি ঢাকা চেম্বারের টেলিকম, আইসিটি এবং ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক, এফবিসিসিআই-এর দু'টি স্ট্যান্ডিং কমিটি (ই-কমার্স এবং টেলিকম ও আইটি) কো-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছি।
সম্পাদনা: ফারজানা রিংকী
(প্রিয়.কম) দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম চারদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বেসিস সফটএক্সপো ২০১৭। ‘ফিউচার ইন মোশন’ শ্লোগান নিয়ে এবারের সফটএক্সপোর আহবায়ক ছিলেন বেসিসের বর্তমান কমিটির পরিচালক ও মেট্রোনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলমাস কবির। সম্প্রতি প্রিয়.কমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে সফটএক্সপো আয়োজনের নানা ধরনের চ্যালঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
প্রিয়.কম: কেমন হয়েছে এবারের আয়োজন?
আলমাস কবির: সার্বিক অবস্থা দেখে আমি মনে করি এবারের আয়োজন অনেক সফল হয়েছে। কারণ এতো অল্প সময়ে আমরা যেই আয়োজন করতে পেরেছি এবং সবার অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত একটা সফটএক্সপো উপহার দিতে পেরেছি সেটাই অনেক বড় কিছু। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, এক্সপোতে প্রত্যেকটা এক্সিবিটর অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। এছাড়াও এবারের এক্সপোতে দেশি-বিদেশি অতিথি আলোচকদের সমন্বয়ে প্রায় ২০টি সেমিনার ও ১০টিরও অধিক টেকনিক্যাল সেশনের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে প্রথমবারের মত শিশুদের প্রোগ্রামিং এর সাথে পরিচয় ঘটাতে মাইক্রোসফটের আয়োজন ছিলো প্রশংসনীয়। একইসাথে অংশগ্রহণকারীদের আগমনে প্রত্যেকটি সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।
প্রিয়.কম: কোন কোন জায়গাটা আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে?
আলমাস কবির: এতো অল্প সময়ে এবারের সফটএক্সপোকে বাস্তবায়ন করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ ছিলো। যেহেতু চার বছরের একটা গ্যাপ ছিলো, সেখান থেকে নতুন করে শুরু করা এবং রি-ব্র্যান্ডিং করা ছিলো তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পর্যাপ্ত দর্শনার্থীদের আগমন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আমার সেই চ্যালেঞ্জকে পূর্ণ করতে অনেকটা সাহায্য করেছে। একইসাথে আমাদের পরিচালনা পর্ষদও অনেক সাহায্য করেছেন।
প্রিয়.কম: এই আয়োজনে বিশেষ কিছু ছিলো কী?
আলমাস কবির: এবারের আয়োজনে তরুণদের অংশগ্রহণটাই বিশেষ একটি পার্ট ছিলো। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে, তার মধ্যে অনেক স্টার্টআপ ছিলো, যারা আগের এক্সপোতে ছিলো না। পাশাপাশি এবারের আয়োজনে আইটি'র বাইরেও কয়েকটা ব্যাংক অংশগ্রহণ করেছে, স্পন্সর করেছে। আমি ব্যাংকগুলোকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আরেকটা বিষয় আমি জানাতে চাই তা হলো, আমরা এখানে কিছু ম্যাচমেকিং মিটিং এর আয়োজন করেছিলাম। বিদেশের আটটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির সাথে দেশিয় প্রায় ৪৫টির মত স্টার্টআপকে তাদের আইডিয়া শেয়ার ও বিজনেস প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। একইসাথে সরকার থেকে পুরস্কার পাওয়া ১০টা স্টার্টআপকেও আমরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর সাথে বসানোর জন্য বিশেষ আয়োজন করেছিলাম।
প্রিয়.কম: আপনার ব্যক্তিগত ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই।
আলমাস কবির: আমি আসলে ব্যবসার পাশাপাশি অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জড়িত। আমার নিজের প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট আইটিইএস, সফটওয়্যার সলিউশন এবং নেটওয়ার্ক ও সাইবার নিরাপত্তায় কাজ করে থাকে। এছাড়াও আইপি টেলিফোন সেবা নিয়ে কাজ করছে মেট্রো টেল এবং দেশিয় উদ্যোক্তাদের জন্য সম্প্রতি আমরা ভার্চুয়াল ক্লাউড সার্ভার (ভিপিএস) সেবাও চালু করেছি। একইসাথে আমি অ্যামেরিকায় পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন অ্যামেরিকান অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছি। আমি ঢাকা চেম্বারের টেলিকম, আইসিটি এবং ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক, এফবিসিসিআই-এর দু'টি স্ট্যান্ডিং কমিটি (ই-কমার্স এবং টেলিকম ও আইটি) কো-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছি।
সম্পাদনা: ফারজানা রিংকী
No comments:
Post a Comment